কোটি টাকার জাল নোটসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

ঢাকার বনশ্রী এলাকায় কোটি টাকার জাল নোটসহ জালিয়াতচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2015, 07:12 AM
Updated : 28 June 2015, 10:56 AM

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, শনিবার রাতে বনশ্রীর একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 “ওই বাসায় এক কোটি চার লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোট এবং বেশ কিছু সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।”

গ্রেপ্তররা হলেন- আব্দুর রহিম শেখ (৩৫), তার প্রথম স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৪), দ্বিতীয় স্ত্রী রুবিনা খাতুন (১৯), মোহাম্মদ আসাদ (২২) ও মো. তাজিম হোসেন (২৬)।  এদের মধ্যে রহিম শেখ এই চক্রের হোতা বলে র‌্যাবের দাবি।

মুফতি মাহমুদ বলেন, রহিম শেখ পিরোজপুর থেকে ২০০৩ সালে ঢাকায় এসে তেজগাঁওয়ের এক ট্রাক চালকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি মোহাম্মদপুরের জালনোট চক্রের হোতা হুমায়ুনের সঙ্গে যোগ দেন এবং তার কাছেই ‘এই বিদ্যা’ রপ্ত করেন।

“পরে বনশ্রী আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দুই স্ত্রীকে কাজে লাগিয়ে জাল টাকা তৈরি শুরু করেন রহিম।”

সহযোগীদের মধ্যে আসাদ ও তাজিম জাল নোটগুলোর বাণ্ডল তৈরি করত এবং আরও পাঁচ/ছয়জনের মাধ্যমে তা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হত বলে জানান এই র‌্যাব কর্তকর্তা।

ওই বাসা থেকে দুটি ল্যাপটপ, টাকা তৈরির ১১টি স্ক্রিন, তিনটি বোর্ড, দুটি প্রিন্টার, নিরাপত্তা সুতার ফয়েলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

“তাদের কাছে ভারতীয় নোট তৈরির নিরাপত্তা সুতার ফয়েলও পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছে, ঈদের আগে ভারতীয় রুপি বাজারে ছাড়ারও পরিকল্পনা ছিল তাদের।”  

এর আগে গত ১৪ জুন ঢাকার শেরে বাংলা নগর এলাকা থেকে ৪০ লাখ টাকার জাল নোট ও সরঞ্জামসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই চক্রটি ঈদের আগে কোটি টাকার জালনোট বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল। ওই চক্রের ১২ সদস্যের মধ্যে বাকি ছয়জনকে পুলিশ খুঁজছে বলেও সেদিন জানানো হয়। 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সেদিন ঈদের সময় কেনাকাটায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। নোট নিয়ে কারও সন্দেহ হলে বিপণি বিতানে বসানো জালনোট শনাক্তকরণ যন্ত্রে তা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি।