চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মো. নয়ন (১৭) নামের ওই কিশোরের মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসক মৃণাল কান্তি দাশ জানান।
তিনি জানান, নয়নের শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায়।
গত বুধবার ভোররাতে বন্দরটিলার ‘রুবেল ম্যানসন’ নামে একটি টিনশেড কলোনিতে চুলার আগুন থেকে নয়নদের ঘরে আগুন ধরে যায়।
এতে নয়ন, তার বড় বোন নার্গিস আক্তার (২০) এবং মোছাম্মৎ সালমা (২১) ও তার বোন কোহিনুর আক্তার (২০) দগ্ধ হন।
তারা সবাই একই পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং কলোনির ওই ঘরে ভাড়া থাকতেন।
ইপিজেড থানার এসআই মো. সায়েম জানান, সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে ওই এলাকায় গ্যাস সংকট চলছিল। সে সময় ভুল করে কেউ একজন ওই ঘরের গ্যাসের চুলা খুলে রেখেছিল।
“এ কারণে সরবরাহ চালুর পর খোলা চুলা থেকে ওই ঘরে গ্যাস জমে যায়। সেহেরির আগে রান্নার জন্য দিয়াশলাই জ্বালানো মাত্র আগুন ধরে যায়।”
পরে প্রতিবেশীরা এসে দ্রুত আগুন নিভিয়ে দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে পাঠান বলে এসআই সায়েম জানান।