তিন মামলায় ফখরুলের জামিন আপিলেও বহাল

নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগও বহাল রেখেছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2015, 04:06 AM
Updated : 28 June 2015, 01:30 PM

এর আগে আরও চার মামলায় ফখরুল হাই কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ায় তার মুক্তিতে এখন ‘আর কোনো আইনি বাধা নেই’ বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।

গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে পল্টন ও মতিঝিল থানার  তিন মামলায় ফখরুলকে দেওয়া জামিনের আদেশ স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগে এসেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই আবেদনের নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত ফখরুলের জামিন বহাল রেখেছে।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।

ফখরুলের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিওন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল  মুরাদ রেজা ও মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

আদেশের পর টুটুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপিল বিভাগ তিন মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন বহাল রেখেছেন। পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দিলে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।”

ছয় মাস ধরে কারাবন্দি ফখরুল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।

দশম জাতীয় সংসদের বর্ষপূতির দিনে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পরদিন ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার হন ফখরুল।

এরপর নাশকতার সাতটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিচারিক আদালতে এসব মামলায় জামিন না পেয়ে হাই কোর্টে আসেন ফখরুলের আইনজীবীরা।

এর মধ্যে তিন মামলায় গত ১৮ জুন মির্জা ফখরুলকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় হাই কোর্ট।

ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করে। চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিলে ২৫ জুন আপিল বিভাগ আবেদনটি শোনে। এরপর রোববার আদেশ হল। 

ফখরুলের আইনজীবীরা বলছেন, তার বিরুদ্ধে থাকা সাতটি মামলাতেই আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে।  এখন যে কোনো সময় এই বিএনপি নেতার মুক্তি হতে পারে।

অবশ্য ২১ জুন অপর তিন মামলায় ফখরুলকে দেওয়া হাই কোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে এখনও। 

বিএনপির এই নেতা অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশে গত ১৩ জুন তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।