সংবাদের ঘটনা তদন্ত করতে গঠিত সরকারি কমিটি প্রথম আলোর সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি- মর্মে পত্রিকাটির বক্তব্য সঠিক নয় জানিয়ে মন্ত্রী বুধবার সংসদে ওই সাংবাদিককে ফোন করার কল লিস্ট প্রকাশ করেন।
বুধবার প্রথম আলো কৃষিমন্ত্রীর বিবৃতির খবর ছাপিয়ে নিজেদের বক্তব্যে বলে, “সংসদে কৃষিমন্ত্রীর বিবৃতির পরে আমরা ঝিনাইদহ প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি জানান, প্রথম আলোর সংবাদটি সঠিক ও তথ্যভিত্তিক। তা ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির কেউ তাঁর কাছে আসেননি বা ডাকেননি। এ বিষয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।”
সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতিতে বুধবার মতিয়া প্রথম আলোর খবরটি পড়ে বলেন, “তার সংবাদদাতারে যে ডাকা হয় নাই, বা তার কোনো বক্তব্য শোনা হয় নাই, এটা অসত্য। উনারা আরও কি তদন্ত করে রিপোর্ট করবেন...আমি নিশ্চয়ই সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাই না।”
প্রথম আলোর ঝিনাইদহ প্রতিনিধিকে ফোন দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে কললিস্ট সংসদে তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “কললিস্টটা উনারা চেক করতে পারেন।”
তিনি বলেন, “আব্দুল ওয়াদুদ, উপসচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, আহ্বায়ক, তদন্ত কমিটি কোটচাঁদপুর থেকে কল দেন। ফোন নং-.....। ০২/৬/১৫ তারিখ, ৬টা ৪৮ মিনিট। আবার জনাব আজাদ রহমানরে ৮টা ৩০ মিনিট দেওয়া হয়, ......... এ কল দিলে উনি বলেন, আমি খুব ব্যস্ত। বাড়ি চলে যাচ্ছি।”
মন্ত্রী বলেন, “আসলে যে কারো ভুল হতেই পারে। কিন্তু... যেহেতু কাগজ আছে; কাগজ একেবারে অভ্রান্ত, সত্যের উপর দিয়ে সত্য বলে প্রমাণ করা, এধরনের প্রবণতাটা না থাকা ভালো।”
২৭ মে পত্রিকাটিতে প্রকাশিত একটি সংবাদের সূত্র ধরে সরকারি তদন্তে সে খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি জানিয়ে মন্ত্রী মঙ্গলবার ৩০০ বিধিতে একটি বিবৃতি দেন।
সংসদে ৩০০ বিধির বিবৃতির পর সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ থাকে না। মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো বিষয়ে এই বিধিতে বিবৃতি দেন।