বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের দৃষ্টিতে এক বছরের ব্যবধানে ৫৮তম স্থান থেকে ১৪ ধাপ এগিয়ে এখন ৪৪তম অবস্থানে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
বিশ্ব ব্যাংকের ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্ডিকেটরস ডাটাবেইস এবং আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক প্রতিবেদনে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র উঠে এসেছে, যা গত এপ্রিলে প্রকাশ করা হয়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে ১৪ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পর ফেইসবুকে এক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, “আরও একটি ভালো সংবাদ। বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ এর তথ্যমতে, বিশ্বের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় মাত্র দুই বছরে ১৪ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। পরম মানের দিক থেকে আমরা এখন বিশ্বের ৪৪তম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি, কিন্তু সমতা ভিত্তিতে ক্রয় ক্ষমতার বিচারে সে অবস্থান ৩৩তম। এত অল্প সময়ে খুব কম দেশই এই অগ্রগতি করতে পেরেছে।”
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা জয়ের মতে, “এই অর্জন সম্ভব হয়েছে কেবল আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের নিষ্ঠা আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে। আমরা দ্রুততার সাথেই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এবং যেতে থাকবো।”
২০১৫ সালে বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ বেড়ে ২০৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আর এই জিডিপি অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির আঙিনায় ১২ ধাপ উপরে উঠে ৪৪তম স্থানে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে (জিডিপি বেজড অন পিপিপি) বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩৩তম। ২০১৩ সালে ছিল ৩৬তম।
ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭২ দশমিক ৪০ ডলার। ২০১৩ সালে ছিল ৪৬১ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার।
জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১২৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালে ছিল ১৬ হাজার ৭৬৮ বিলিয়ন ডলার।