সংসদে নতুন বাজেট প্রস্তাবের একদিন পর ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির নেতারা এ দাবি জানান।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “ছিটমহলবাসীর কল্যাণ চিন্তা করে তাদের এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান করার জন্য এই বাজেটে ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।”
তবে এখন থেকে এই ছিটমহলগুলোকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি (বাংলাদেশ ইউনিট) সভাপতি মইনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেটে ছিটমহল উন্নয়নে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হোক। কারণ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে হলে প্রয়োজন এ বিশেষ বরাদ্দ।
ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি (বাংলাদেশ ইউনিট) সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারত সরকার ছিটমহল উন্নয়নে তিন হাজার ১০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। অথচ বাংলাদেশের প্রস্তাবিত বাজেটে রাখা হয়েছে মাত্র ২০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহলের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের উন্নয়নে এ বরাদ্দ অপ্রতুল উল্লেখ করে বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরের কুড়িগ্রামের ছিটমহল এলাকার মসজিদ ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
এছাড়াও নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করা হয়।