বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া এক বাজেট বক্তৃতায় ‘ব্যক্তিগত মত’ হিসাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “যানজটমুক্ত ঢাকা শহর গড়ে তুলতে মেট্রো রেলের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ২০১৯ সাল নাগাদ এর কাজ শেষ করতে পারবো।
“যানজট সমস্যা সমাধানে আমাদের চলমান অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে, ৩৮ দশমিক ২ কিলো মিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা শহরের জাহাঙ্গীর গেইট এলাকায় ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড অ্যাক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ।”
“এছাড়া গাজীপুর হতে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত এবং বিমানবন্দর হতে ঝিলমিল পর্যন্ত বাস রেপিড ট্রানজিট নির্মাণের রুট সমীক্ষা এবং প্রাথমিক নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দ্রুত গতিতে চলছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ।”
তিনি বলেন, “তবে আমার ব্যক্তিগত মত হলো, রাজধানীর যানবাহন ব্যবস্থাপনার জন্য একটি স্বতন্ত্র সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন আছে।”
“কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের জন্য চায়না কমিউনিকেশন কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এর সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করেছি। এটি নির্মিত হলে চট্টগ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে সংযোগ বাড়ার পাশাপাশ যানজট হ্রাস পাবে।”
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আশা করছি, ২০১৮ সাল নাগাদ এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো।”