ফের চিঠিতে হুমকি, তালিকায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামে চিঠি পাঠিয়ে এবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2015, 02:16 PM
Updated : 2 June 2015, 02:51 PM

তাকেসহ সাতজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে মঙ্গলবার চিঠিটি পাঠানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীকে।

১০ জনকে হত্যার হুমকি দিয়ে দুই সপ্তাহ আগে একই নামে আরেকটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে। ওই চিঠিতে তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নাম ছিল।

ওই চিঠি পাঠানোর সঙ্গে জড়িত কেউ চিহ্নিত না হওয়ার মধ্যে অধ্যাপক আজাদ চৌধুরীর কাছে চিঠিটি আসে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-১৩ নামে।  আগের চিঠিটি এসেছিল ‘আল কায়েদা-আনসারুল্লাহ বাংলাটিম:১৩’ নামে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুপুরে অধ্যাপক আজাদ চৌধুরী জানান যে তার ধানমন্ডির বাসায় ওই চিঠি এসেছে।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

চিঠিতে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আর যে সাতজনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অধ্যাপক আজাদ চৌধুরী ছাড়াও রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, অভিনেত্রী শমী কায়সার।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলীর নামও ওই তালিকায় রয়েছে।

তালিকায় আবু মূসা এম মাসুদুজ্জামান জাকারিয়া নামের এক ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাকে চেনেন না বলে অধ্যাপক আমজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তিনি বলেন, “আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকি, সেখানে আমরা অনেকটাই নিরাপদ। আজাদ স্যার থাকেন ধানমণ্ডিতে। তার বাসা সংলগ্ন এলাকায় যেন নিরাপত্তা বাড়ানো হয়, সেজন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।”

গত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলার চলার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় লেখক অভিজিৎ রায়কে। ওই হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহর জড়িত থাকার সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা।

এরপর ঢাকার তেজগাঁওয়ে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু এবং সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডেও সন্দেহের তীর এই সংগঠনটির দিকে।

এরপর গত সপ্তাহে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আনসারুল্লাহকে নিষিদ্ধ করে সরকার। এরপরই সংগঠনের নামে প্রথম চিঠি এল। 

ধানমণ্ডি থানার ওসি মো. নূরে আজম মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিঠিটিতে দাবি করা হয়েছে, তারা (সাতজন) দ্বিতীয় টার্গেটে রয়েছেন। আগে ১০ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”

যাদের হত্যার হুমকি দেওয়া রয়েছে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি যারা এই হুমকি দিয়েছে, তাদের ধরতেও পুলিশ চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।