মঙ্গলবার জেলা শহরের প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নেন কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা।
পর্যটন শহর কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের একটি পরিকল্পনার কথা প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলার মানুষ প্রতিবাদে নামে।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে আমরা হাতিয়ার সন্তান, হাতিয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতিয়া ছাত্র ফোরামের ব্যানারে কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।
সমাবেশে হাতিয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে সরকার রোহিঙ্গাদের হাতিয়া দ্বীপে স্থানান্তর করতে চায়।
এ ধরনের উদ্যোগ সফল হলে হাতিয়াসহ পুরো নোয়াখালী অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটবে।
“নদীভাঙনের কারণে অনেক মানুষ ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। তাদেরকে পুনর্বাসিত না করে ভিনদেশি রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তরের উদ্যোগ যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে,” বলেন তিনি।
মানববন্ধন থেকে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের চিন্তা থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান আমরা হাতিয়ার সন্তান সংগঠনের নেতা মো. সারোয়ার।
জেলা শহরে অবস্থানরত হাতিয়ার বাসিন্দারা ‘শান্তিপূর্ণ হাতিয়ায়, রোহিঙ্গাদের ঠাঁই নাই, ‘যেকোনো মূল্যে এই পুনর্বাসন ঠেকানো হবে’, ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসে।
বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, তারাও সরকারের এমন ‘জনস্বার্থ বিরোধী’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন।
সরকারকে হাতিয়ায় রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোহিঙ্গা পুনর্বাসন নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত নন।
তবে নোয়াখালীর কোথাও রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য পাঁচশ একর জমি পাওয়া যাবে কিনা, তা গত মে মাসে বিভাগীয় কমিশনার ও ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।
জবাবে তিনি (জেলা প্রশাসক) হাতিয়ার ঠেঙ্গার চরে এই পরিমাণ জমি দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন বলে জানান।