পুলিশ জানায়, রোববার রাতে বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাড়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার পরপরই হাজেরার স্বামী সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে করা হয়েছে। সোহেল দক্ষিণ ঝাড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা।
নির্যাতিত গৃহবধূ হাজেরা বেগমকে (২২) বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
হাজেরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোহেল প্রায় প্রতিদিন গাঁজা খেয়ে বাড়ি ফেরে। তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে মারধর করে।
রোববার রাতেও গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে দুজনের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সোহেল মারধর করে তার চুল কেটে দেয় এবং সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়, বলেন হাজেরা।
হাজেরার ভাই ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্যাতন চালিয়ে তার বোনকে ঘরে আটকিয়ে রাখে সোহেল। তাদের এক প্রতিবেশীর ফোন পেয়ে তিনি সেখানে যান এবং এর কারণ জিজ্ঞেস করেন।
ফেরদৌস জানান, ওই সময় সোহেল তার সামনেই হাজেরাকে আবারও মারধর করে।
পরে লোকজনের সহায়তায় তিনি হাজেরাকে উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে এনে ভর্তি করান বলে জানান।
তালতলী থানার ওসি বাবুল আখতার বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগ পেয়ে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। পুলিশ দেখে সোহেল পায়রা নদী সাঁতরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে ধরে ফেলে।
বরগুনার সিভিল সার্জন মো. রুস্তুম আলী জানান, সিগারেটে পোড়া ঘাগুলো শুকাতে একটু সময় লাগবে। তবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।