দেশটির তথ্যমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইয়ে হুতুত মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, নৌবাহিনীর পাহারায় নৌকাটিকে একটি ‘নিরাপদ স্থানে’ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যাতে তাদের নাগরিকত্ব সনাক্ত করা যায়।
একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবির পক্ষ থেকেও।
বিজিবি টেকনাফ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই নৌকা ও আরোহীদের বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বিজিবিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
“মিয়ানমারের নৌবাহিনীর পাহারায় দুটি জাহাজে করে ওই অভিবাসীদের বুধবার নাফ নদী দিয়ে মংডু শহরে নিয়ে যাওয়া হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের পুশব্যাক নয়, স্থানান্তর করা হচ্ছে।”
গত শুক্রবার মিয়ানমারের দক্ষিণ উপকূলে ওই নৌকা আটকের পর দেশটির সরকার আরোহীদের ‘বাঙালি’ বলে দাবি করে।
এর চার দিনের মাথায় মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দামান সাগর থেকে আটক ওই নৌকার আরোহীরা ‘বাংলাদেশে যেতে চান, মিয়ানমারে নয়’।
“মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাদের সঙ্গে করে বাংলাদেশের জলসীমায় নিয়ে যাবে। নৌকার আরোহীদের সঙ্গে পানি ও খাবারও দিয়ে দেওয়া হবে। এটা তাদের ইচ্ছাতেই করা হচ্ছে।”
এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় মিয়ানমারের মন্ত্রী তার বক্তব্য ‘সংশোধন’ করেন বলে রয়টার্সের পরের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এর আগে মিয়ানমার আরেকটি নৌকা থেকে প্রায় ২০০ জনকে উদ্ধারের পর তাদের বাংলাদেশি বলে দাবি করে, যদিও তারা রোহিঙ্গাদের আড়াল করে আরোহীদের বাংলাদেশি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে উঠে আসে।
বিজিবি কর্মকর্তা মেজর রাসের বলেন, মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী চিঠির বক্তব্যের বাইরে ‘অন্য কিছু’ করার চেষ্টা করলে বাংলাদেশ ‘সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করবে’।
“বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সদস্যরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন”, বলেন তিনি।