কর্ণফুলী ও হালদা রক্ষায় চাই পর্যাপ্ত ‘ডাম্পিং স্টেশন’

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে নগরীতে পর্যাপ্তসংখ্যক ‘ডাম্পিং স্টেশন’ বসানোর সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2015, 12:57 PM
Updated : 1 June 2015, 12:57 PM

সোমবার নগরীর ওয়াসা ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘দূষণমুক্ত নগরী ও কর্ণফুলীর সুরক্ষা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ মত প্রস্তাব তুলেন তারা।

সভায় চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপক আবদুল আউয়াল বলেন, হালদা ও কর্ণফুলী নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখতে নগরীর বর্জ্যগুলো ডাম্পিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করতে হবে।

“তা না হলে গৃহস্থালি ও শিল্প বর্জ্যের একটা বিরাট অংশ খাল-নালা হয়ে নগরীর প্রান্তে এ দুটি নদীতে গিয়েই পড়ে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে শিল্প কারখানায় ইটিপি স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।”

পাশাপাশি যত্রতত্র ময়লা না ফেলতে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন তিনি।

সভায় হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, বিভিন্ন কারখানায় ইটিপি স্থাপনের পাশাপাশি গৃহস্থালি বর্জ্যের জন্য নগরীতে আরও ডাম্পিং স্টেশনের প্রয়োজন আছে। 

নগরীর হালিশহর আনন্দবাজার এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীন একটিমাত্র ডাম্পিং স্টেশন আছে।

কর্ণফুলীকে চট্টগ্রামের প্রাণ উল্লেখ করে ইদ্রিস আলী বলেন, এই নদীর ‍উপর বহুমুখী অত্যাচার চলছে। এ নদী সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত এবং এতে জোয়ার-ভাটা না থাকলে এতদিনে বুড়িগঙ্গার পরিণতি হতো।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হালদা গবেষক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠার পর অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম ওয়াসার কোনো স্যুয়ারেজ সিস্টেম নেই। একটি সুস্থ নগর গড়তে এর কোনো বিকল্প নাই।

ওয়াসার সচিব মো. শামসুদ্দোহা বলেন, যদি শ্রেণিকরণের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করা যায় তাহলে রিসাইক্লিং করতেও সুবিধা হয়। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে ভারসাম্য দরকার।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. মকবুল হোসেন বলেন, শিল্প-কারখানা ও জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের পরিবেশ দূষণও বেড়েছে।

কর্মীসংখ্যার স্বল্পতার কারণে পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণরোধে ‘কার্যকর ভূমিকা’ রাখতে পারছে না দাবি করে তিনি বলেন, “মাত্র ৩৫৭ জন ‘সাপোর্ট স্টাফ’ (কর্মকর্তা-কর্মচারী) নিয়ে সারা দেশে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ খুবই কষ্টসাধ্য।

“তারপর পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে গেলে রাজনৈতিক চাপ আসে।”