ফের শীর্ষে ফেরার আশা রাজউক অধ্যক্ষের

প্রথম স্থান হারালেও আগামী বছরই তা পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইমামুল হুদা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2015, 03:53 PM
Updated : 30 May 2015, 05:39 PM

২০১৪ সালে এসএসসিতে সারাদেশে প্রথম হয়েছিল রাজউক উত্তরা স্কুল ও কলেজ। ২০১৫ সালে তাদের হটিয়ে শীর্ষ স্থান নিয়েছে ডেমরার শামসুল হক খান স্কুল ও কলেজ।

ফল প্রকাশের পর ইমামুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, “এবার আমাদের কলেজ দ্বিতীয় হয়েছে। অন্যবার প্রথম হই, সববার যে প্রথম হতে হবে-এমন কোনো কথা নেই।

“সামনের পরীক্ষাগুলোতে আমরা আবার ভালো করব। দ্বিতীয় স্থানও ভালো পজিশন। আমি আশা করছি, আমাদের শিক্ষার্থীরা এ থেকে শিক্ষা নেবে যেন আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারি।”

এই প্রসঙ্গে নেলসন ম্যান্ডেলার একটি উক্তি স্মরণ করেন ইমামুল হুদা।

“Do not judge me by my successes, judge me by how many times I fell down and got back up again (সাফল্য দিয়ে আমাকে বিচার কর না, বিফল হওয়ার পর কতবার আমি ঘুরে দাঁড়ালাম, তা দিয়ে বিচার কর আমাকে)। আমরা পেছনে গেছি, আবার সামনে ফেরত আসব।” 

গণিতের জন্য এবার ফল আগের বছরের চেয়ে খারাপ হয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতার কথাও বলা হচ্ছে। 

গণিতের বিষয়টি না মানলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবের কথা স্বীকার করেন ইমামুল হুদাও।

“১৫-১৬ বছর বয়সী এক-একটা বাচ্চা, এই বাচ্চারা দুই মাস ধরে পরীক্ষা দিয়েছে। যেখানে এক মাসে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এতদিন ধরে পরীক্ষা দেওয়ার ধৈর্য অনেক বাচ্চার মধ্যে থাকে না।”

নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর শতকরা হার, শতকরা পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএ- এই পাঁচটি সূচক মূল্যায়ন করে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়।

প্রথম স্থান দখল করা শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোট পয়েন্ট ৯৭ দশমিক ৮৮। শামসুল হক খান স্কুল থেকে ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪০ জন।

৯৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৫৪৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৪৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯৬ জন।