শনিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৩ হাজার ১৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তপন কুমার রায় সিংহ প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৯০ ভোট।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে গোলযোগহীনভাবে দিনভর ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে রাতে ১৪০টি কেন্দ্রের সবকটির ভোটের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান।
অন্য দুই প্রার্থী এনপিপির কাজী তৌহিদুল আলম পেয়েছেন ৯০২ ভোট এবং বিএনএফের মুতাসিম বিল্লাহ রিফাত পেয়েছেন ৭০২ ভোট।
একটি পৌরসভা, মাগুরা সদর উপজেলার ৯টি ও শ্রীপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাগুরা-১ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ১৪৪ জন।
এই আসনে টানা চার বারের সংসদ সদস্য ডা. মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
এছাড়া অন্য কোথাও কোনো অনিয়ম বা গোলযোগ হয়নি বলে জানান মাগুরার পুলিশ সুপার এ কে এম এহসান উল্লাহ।
ভোটের সময় ২৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এই উপ-নির্বাচন নিয়ে ভোটাদের মধ্যে তেমন সাড়া ছিল না। ভোট কেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিতি ছিল কম। শহরের কেন্দ্রগুলোর চেয়ে গ্রামের কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমনিতেই বিজয়ী হবেন ধারণা করে দলের নেতা-কর্মীরাও সক্রিয় ছিল না।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “১৯৯৪ সালে মাগুরা-২ আসনে একটি বিতর্কিত উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে কারণে নির্বাচন কমিশন চেয়েছে একটি শতভাগ ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন। সকলের সহযোগিতায় কমিশন সেটা করতে পেরেছে।”