চবির আইন বিভাগে ‘নাইট কোর্স’ চান না প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2015, 01:47 PM
Updated : 30 May 2015, 01:47 PM

শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদে’র ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানান তারা।  

লিখিত বক্তব্যে পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ তৈয়ব কিরণ বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে মুনাফালোভী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য সান্ধ্যকালীন এই কোর্স চালু করা হচ্ছে।

বর্তমান শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও অনুষদের বিদ্যমান সমস্যা দূর না করে এই ধরনের বাণিজ্যিক কোর্স চালু করাটাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল নীতির সঙ্গে প্রতারণা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‘টাকা যার শিক্ষা তার’ এই ‘নীতিতে’ চালু করা এই কোর্সে শিক্ষার্থীদের সাধারণ কোর্সের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ গুণ বেশি ফি বেশি রাখা হয়েছে এবং যাদের টাকা খরচের সামর্থ্য আছে শুধু তারাই এই কোর্সে পড়তে পারবেন, বলেন তৈয়র কিরণ।

কোর্স চালু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লুকোচুরি করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আইন অনুষদের নতুন ভবন উদ্বোধনের সময় বিভাগের পক্ষ থেকে এই সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন দাবি করে কিরণ বলেন, এ ধরণের কোর্স চালু হলে আইন বিভাগের সুনাম ও ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হতে পারে।

তিনি বলেন, সান্ধ্যকালীন এই কোর্সে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার যোগ্যতার বিচার না করে টাকার বিনিময়ে সপ্তাহে দুই দিন ক্লাস করে সনদ নেবেন এবং চার বছরের অনার্স ডিগ্রি ধারীদের সাথে দুই বছরের পাস কোর্স থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।

এই সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে আসা না হলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ইউজিসি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি পেশ, মানববন্ধন, আদালত চত্ত্বরে অবস্থান, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।  

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ ঐহিত্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক আইনজীবী প্রতীক কুমার দেব, সদস্য সচিব আইনজীবী জাফর ইকবাল, রাঙ্গামাটি জেলার যুগ্ম জজ আজিজুল হক, আইনজীবী বদরুল হুদা মামুন, রেহাত উদ্দিন ইসমত, শওকত আফজাল চৌধুরী, ওবা থোয়াই মার্মা ও মো. জুনায়েদ।