শনিবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে স্বামীর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন খালেদা জিয়া।
এ সময় সমাধিপ্রাঙ্গণে নেতাকর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের দোয়া ও মিলাদেও অংশ নেন খালেদা জিয়া।
তিন তারকা জেনারেল হিসেবে সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন। জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনীতে থাকা অবস্থায় ১৯৭৮ সালে তার তত্ত্বাবধানেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়।
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় খালেদার জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, মুশফিকুর রহমান, রুহুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক আহমেদ আজম খান।
কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ শাহজাহান, মাহবুবউদ্দিন খোকন, ফজলুল হক মিলন, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন আনোয়ার হোসাইন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, আবু সাঈদ খান, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, এমএ মালেক, মনির খান, নুরী আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন খান, রেহানা আক্তার রানু, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নিলুফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।
খালেদা জিয়ার পর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় মহানগর বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, জাসাস, ড্যাব, অ্যাব, উলামা দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতীদল, ছাত্রদল, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ সমমনা বিভিন্ন সংগঠন।
২০ দলীয় জোটের পক্ষে জাগপা, লেবার পার্টি, ন্যাপের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
ড্যাব ও জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) উদ্যোগে সমাধিপ্রাঙ্গণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
খাবার বিতরণ
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জিয়ার রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন খালেদা জিয়া।
বেলা ১২টা ২৬ মিনিটে ফার্মগেইটের কাছে টিঅ্যান্ডটি মাঠে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন তিনি।
পরে মোহাম্মদপুর টাউন হলেও খাবার বিতরণ করেন বিএনপি প্রধান।
এছাড়া সারাদিনে ধানমন্ডি, আজিমপুর, লালবাগ বালুর মাঠ, হাইকোর্ট মাজার, শান্তিনগর, মৌচাক, খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, কলাবাগান, নয়া পল্টন, মতিঝিল, দয়াগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক রোড, রায় সাহেব বাজার, নয়াবাজার, জজ কোর্ট, বংশাল, নর্থসাউথ রোডের বিভিন্ন স্পটে খাবার বিতরণের কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তার।
মাগরিবের নামাজের পর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ হবে।
রবি ও সোমবারও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খাবার বিতরণ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি উত্তোলন করা হয়েছে কালো পতাকা ও জাতীয় পতাকা। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন বাণী দিয়েছেন।
মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পোস্টার ছাপানো হয়েছে। ধর্মীয় উপসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা হওয়ার কথা রয়েছে।