শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ শাহ্ আলমগীর ফল ঘোষণা করেন।
এবছর এই শিক্ষাবোর্ড থেকে মোট ৭০ হাজার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৯ হাজার ৪৪৬ জন।
পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে এবছর ছাত্রীরা এগিয়ে।
২৯ হাজার ৮৮৯ জন ছাত্রী পাস করেছেন। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী ১ হাজার ৬২৫ জন।
অন্যদিকে ছাত্র পাস করেছে ২৯ হাজার ৫৫৭ জন, পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।
১ হাজার ৫৪৬ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে গতবারের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা কমেছে।
গত বছর পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৭৬২ জন শিক্ষার্থী।
বোর্ড সেরা ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর দিক থেকে এই বোর্ডে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ।
এই প্রতিষ্ঠানের ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৮৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০৫ জন।
তৃতীয় বরিশাল জিলা স্কুলের ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬৮ জন পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৭৪ জন।
শীর্ষে ঝালকাঠী
জেলাভিত্তিক ফলাফলে দেখা গেছে, বিভাগের ছয়টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাস করেছে ঝালকাঠী থেকে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর জানান, ঝালকাঠী জেলা থেকে ৬ হাজার ৫০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৫ হাজার ৬৫৫ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
বরিশাল জেলা থেকে অংশ নেওয়া ২৪ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২১ হাজার ৩০২ জন। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ভোলা জেলায় পাস করেছেন ৮ হাজার ১৫৮ জন। এ জেলায় পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯ হাজার ৫৫৪ জন। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
পিরোজপুর জেলায় পাস করেছেন ৮ হাজার ১৬০ জন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৯ হাজার ৬৪৫ জন শিক্ষার্থী। এই জেলায় পাসের হার ৮৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বরগুনায় পাসের হার ৮৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। ৭ হাজার ৩৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৬ হাজার ২১৩ জন।
পটুয়াখালীতে পাসের হার ৭৯ দশমিক ১১ শতাংশ। এই জেলায় পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ হাজার ৫৮৮ জন। পাস করেছেন ৯ হাজার ৯৫৮ জন।