কঠোর নিরাপত্তায় মাগুরায় উপ-নির্বাচনে ভোট চলছে

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মাগুরা-১ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকমাগুরা প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2015, 03:38 AM
Updated : 30 May 2015, 04:22 AM

শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, “কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা গোলযোগ ছাড়াই ভোট চলছে।”

এ আসনের মোট ১৪০টি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ১৪০ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৭১১ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১৪২২ জন পোলিং কর্মকর্তা কাজ করছেন বলে খুলনা বিভাগীয় অঞ্চলের এই আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ আসনে এবারের উপ-নির্বাচনে মোট তিন লাখ ২৩ হাজার ১৪৪ জন ভোটার আছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আছেন চারজন।

এরা হলেন- আওয়ামী লীগের এটিএম আব্দুল ওয়াহহাব (নৌকা), এনপিপির কাজী তৌহিদুল আলম (আম), বিএনএফর মুতাসিন বিল্লাহ রিফাত (টেলিভিশন) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তপন কুমার রায় (সিংহ)।

১৯৯৪ সালে মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনের ‘কলঙ্ক’ মুছতে এবার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, খুলনা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি, র‌্যাবের খুলনা অঞ্চলের কমান্ডার ও বিজিবি কমান্ডারসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা মাগুরায় দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মুজিবুর জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারের সমন্বয়ে ৫০টি মোবাইল টিম, নয়টি স্পেশাল মোবাইল টিম, আটটি স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার হাজার ৩৮১ জন সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছে নির্বাচনী এলাকায়।

এ আসনের ১৪০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়।

নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১০ জন পুলিশ ও ১৪ জন আনসারসহ ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে আট জন পুলিশ ও ১৪ জন আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।

এর আগে সদ্য সমাপ্ত তিন সিটি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর মাগুরা-১ উপনির্বাচন সামনে রেখে প্রতি ঘণ্টায় ভোটের হার জানতে ঢাকায় মহড়া করেছে নির্বাচন কমিশন।

‘মক ভোটিং’-এ দেখা গেছে, প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ একটি ভোট পড়ে। এর বেশি ভোট পড়লেই তাতে কারচুপি হচ্ছে বলে সন্দেহ তৈরি হবে।

এ লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম তদারকিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পাঁচজন কর্মকর্তা ঘণ্টায়-ঘণ্টায় প্রতি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ভোটগ্রহণের হার পর্যবেক্ষণ করবেন।

মাগুরায় এ ধরনের ঘটনা আঁচ করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইসি কর্মকর্তারা বলছেন।

মাগুরা সদর উপজেলার নয়টি ও শ্রীপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদের মাগুরা-১ আসন গঠিত। টানা চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ সিরাজুল আকবর ৯ মার্চ মারা যাওয়ায় এ আসনটি শূন্য হয়।