শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আকতার এই মামলার তদন্ত করতে গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) নাইমুল হাসান।
ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদে বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে তিন দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে ধর্ষণের আলামত নষ্টের অভিযোগে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির ও এসআই মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কিশোরীর মায়ের করা আরেকটি মামলা খারিজ করে দেয় আদালত।
বুধবার রাতে নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৩ বছর ওই কিশোরী তার প্রতিবেশী শাহ আলমের (৫৫) বাড়ির গৃহকর্মী হিসেবে কাজের সময় একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হন এবং অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন বলে পরিবারের অভিযোগ।
পরে শাহ আলমের পরিবারের পরামর্শে এ মাসের শুরুতে রাঙ্গুনিয়ার মরিয়ম নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানো হয়।
গত ৮ মে এ ঘটনায় শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কিশোরীর মা। ওই রাতেই পুলিশ শাহ আলমকে আটক করলেও পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরদিন কিশোরীর ভাইকে আটক করে কিশোরীর মায়ের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া এজাহারে তার ছেলেকেই ধর্ষণের মামলায় আসামি করা হয়।
এ ঘটনা নিয়ে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত সোমবার শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ওই দিনই চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন কিশোরীর মা।
এরপর বুধবার রাতে শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলে পুলিশ।