শেখ হাসিনাকে ‘দেশরত্ন’ খেতাব নাগরিক কমিটির

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘উন্নয়নের জননী’ অভিহিত করে তার নামের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘দেশরত্ন’ শব্দটি ব্যবহারের প্রস্তাব করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2015, 03:28 PM
Updated : 29 May 2015, 03:28 PM

শুক্রবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়ে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে তাকে ওই উপাধিতে ‘ভূষিত’ করা হয়।

ভারতীয় পার্লামেন্টে ‘সীমান্ত বিল’ পাশে দীর্ঘকাল ঝুলে থাকা সীমান্ত চুক্তি কার্যকরের বাধা কাটায় এবং ‘জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের’ জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানা দিকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে বক্তারা তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

নাগরিক কমিটির সভাপতি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক প্রধানমন্ত্রীর নামের শুরুতে ‘দেশরত্ন’ শব্দটি ব্যবহারের প্রস্তাব করে অন্যদের সমর্থন চান।

তিনি বলেন, “আজ থেকে তার নামের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশরত্ন ব্যবহার করতে চাই।... দেশরত্ন শেখ হাসিনা।”

এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তার প্রস্তাবকে সমর্থন জানান।

বিকাল ৪টার পরে জাতীয় সংগীত ও ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হলে সৈয়দ শামসুল হক সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর তার রচিত ‘মর্ম সংগীত’ এবং নৃত্য পরিবেশিত হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে নৌকার প্রতিকৃতির একটি স্মারক তুলে দেন নাগরিক কমিটির সভাপতি সৈয়দ শামসুল হক। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অভিজ্ঞানপত্র পাঠ করেন। এরপর তিনিও শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি সম্বলিত একটি স্মারক তুলে দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হাতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অনুপম সেন, অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান, ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন।

তাদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে সংগীত পরিবেশনা। মিতা হক ও মহিউজ্জামান চৌধুরী শোনান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান “আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী! ”

প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য দিতে এসে সৈয়দ শামসুল হক বলেন, “আজ এই জননী আর কেউ নন, তিনি উন্নয়নের জননী জননেত্রী শেখ হাসিনা।”

সংবর্ধনা দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, “যতোটুকু আর্থ-সামাজিক উন্নতি আমরা করতে পেরেছি তার সবই বাংলার মানুষের দান।

“এই সম্মাননা আমার প্রাপ্য না, এটা বাংলার মানুষের, বাংলার জনগণের প্রাপ্য। তাই এর সবটুকু আমি বাংলার জনগণকে উৎসর্গ করে দিতে চাই।”

মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, ঢাকার দুই মেয়র, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, জাতীয় প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির সভাপতি শফিকুর রহমান, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী নেতা, আইনজীবী, পেশাজীবীসহ ঢাকা এবং আশেপাশের জেলাগুলোর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন।