এই সংবর্ধনা বাংলার মানুষের প্রাপ্য: প্রধানমন্ত্রী

স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের পথ তৈরি হওয়াসহ নানা অর্জনের জন্য নাগরিক সংবর্ধনায় উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সংবর্ধনা তার নয়, বাংলার মানুষের প্রাপ্য।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2015, 01:09 PM
Updated : 29 May 2015, 02:30 PM

তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বাংলাদেশের যে অর্জন হয়েছে তা দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়ায় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
 
২০০৯ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা রূপকল্প ঘোষণা করেছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে যে অগ্রযাত্রার সূচনা করেছিলাম, তা ২০০১ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ভুলুণ্ঠিত হয়ে যায়।
 
“বাংলার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে ২০০৯ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। সেই সুযোগ দিয়েছে বলেই আমরা মানুষের সেবা করতে পেরেছি। 
 
“যতোটুকু আর্থ-সামাজিক উন্নতি আমরা করতে পেরেছি তার সবই বাংলার মানুষের দান। আজকে যে সংবর্ধনা আপনারা আমাকে দিয়েছেন সেটা আমার প্রাপ্য না, সেটা বাংলার মানুষের প্রাপ্য।”

ভারতীয় পার্লামেন্টে ‘সীমান্ত বিল’ পাশে দীর্ঘকাল ঝুলে থাকা সীমান্ত চুক্তি কার্যকরের বাধা কাটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই সংবর্ধনার দেয় জাতীয় নাগরিক কমিটি।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দলে দলে মিছিল নিয়ে এই নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন।

বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরুর পর জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক লেখক সৈয়দ শামসুল হক সূচনা বক্তব্য দেন।

সূচনা বক্তব্যের পর সৈয়দ শামসুল হকের রচিত ‘মর্ম সংগীত’ এবং নৃত্য পরিবেশিত হয়। নৃত্যাঞ্চলের সদস্যরা দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অভিজ্ঞানপত্র পাঠ করেন। এর আগে, শেখ হাসিনার হাতে নৌকার প্রতিকৃতির স্মারক তুলে দেন নাগরিক কমিটির সভাপতি সৈয়দ শামসুল হক। আর অভিজ্ঞানপত্র পাঠের পর কাঠের উপর শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি সম্বলিত একটি স্মারক আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হাতে তুলে দেন আনিসুজ্জামান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অনুপম সেন, অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান, ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন।

তাদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে সংগীত পরিবেশনা। মিতা হক ও মহিউজ্জামান চৌধুরী গেয়ে শোনান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান “আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী! ”

মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, ঢাকার দুই মেয়র, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, জাতীয় প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির সভাপতি শফিকুর রহমান, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী নেতা, আইনজীবী, পেশাজীবীসহ ঢাকা এবং আশেপাশের জেলাগুলোর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।