মেঘনায় নৌকাডুবি, আরও ৪ লাশ উদ্ধার

ঝড়ে নরসিংদীর মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2015, 05:32 AM
Updated : 29 May 2015, 09:46 AM

নরসিংদীর মেঘনা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান,  শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ওই নৌকার ভেতর থেকে দুই শিশু ও দুই নারীর লাশ উদ্ধার করে। 

বৃহস্পতিবার দুপরের এ নৌকাডুবির ঘটনায় এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাতে।

এরা হলেন- সদর উপজেলার বগারগোত গ্রামের রুদ্রমিয়ার স্ত্রী ফালানী বেগম (৬০), সাহাজ উদ্দীনের স্ত্রী নূরু বেগম ও একই গ্রামের স্বপন মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (৮)

এছাড়া কাঠালিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার দুই ছেলে বায়েজিত (২) ও ফয়সাল (৭) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও ওমাইনি (৪)।

নরসিংদী জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়্যারম্যান মো. হারিছ মিয়ার পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সদর উপজেলার পুরানচর বাজার থেকে ৬০/৭০ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মেঘনার অপর পাড় বগারগোত যাচ্ছিল। বেলা দেড়টার দিকে নদীর মাঝামাঝি পৌঁছার পর হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়।

অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হন। উদ্ধারকর্মীরা রাতেই তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করেন।

প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে রাতে উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হলেও সকালে আবার কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।

নরসিংদীর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ পরিদর্শক রুহুল আমিন মোল্লা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করে ডুবুরি দল নদীর ৩০ ফুট গভীরে নৌকার ভেতর থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে।

তবে নৌকায় চাল ও আটার অনেক বস্তা থাকায় শুক্রতার বিকাল পর্যন্ত সেটিকে উদ্ধার সম্ভব হয়নি বলে জানান এই ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা।

মেঘনা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আর কেউ নিখোঁজ নেই। উদ্ধারকর্মীরা এখন নৌকাটি তুলে তীরে আনার চেষ্টা করছেন।”