বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
দুদকের কনস্টেবল আবুল কালাম আযাদ বলেন, আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের দায়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও শরীয়তপুর পৌর মেয়র আব্দুর রব মুন্সিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন, স্কুলটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন কামাল, সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার, মজিবুর রহমান হাওলাদার, আইউব আলী মল্লিক, আব্দুস কুদ্দুস মোল্যা, বেগম আলফাতুন্নেছা, সুজন সাহা, সংগীতা সাহা, রনজিৎ কুমার সাহা ও জমি গ্রহীতা জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুস সালাম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, শরীয়তপুর সদরের আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন দশমিক ৭১ শতাংশ জমি, যার বাজার দর চার কোটি ৫৭ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৫ টাকা, বিক্রির জন্য ২০১২ সালের ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করেন প্রধান শিক্ষক আনোয়ার কামাল।
তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নামমাত্র মূল্য দেখিয়ে দরপত্র দাখিল করে।
তাদের মধ্যে জে সরদার কর্পোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজস করে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি মাত্র এক কোটি ৫০ লাখ টাকায় জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।
সে মোতাবেক একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন কামাল দাতা হিসেবে জে সরদার কর্পোরেশনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই আব্দুস সালামের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন।
কিন্তু জমি বিক্রির টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।
জমি বিক্রির দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার ২ মাস ১৮ দিন পর গ্রহীতারা ৭০ লাখ টাকা ও ৮০ লাখ টাকার দুটি চেক দেন।
কিন্তু চেকে দেওয়া স্বাক্ষরের সঙ্গে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট মালিকের স্বাক্ষর না মেলায় এবং জমি গ্রহীতার ব্যাংক হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক দুটি প্রত্যাখ্যাত হয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুর তদন্ত করে এবং ২০১৪ সালের ৬ অগাস্ট দুদকের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।