তিন বছর আগে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারে বিটুমিন কালোবাজারির মাধ্যমে অবৈধভাবে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের এক কর্মকর্তা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার বেলা ১১টার রেজওয়ান হোসেন কমিশনে এসেছিলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কমিশনের পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ হাজার ১৯৮ টন, মার্চ মাসে ৬ হাজার ৫৭৩ টন এবং এপ্রিলে ৭ হাজার ৪৩ টন বিটুমিন বিক্রি হয়েছিল; যেখানে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিটুমিন বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮০৪ টন, মার্চ মাসে সাড়ে ৪ হাজার টন এবং এবং এপ্রিল মাসে ৪ হাজার ৩৯৫ টন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “ইস্টার্ন রিফাইনারিতে উৎপাদিত প্রতি ড্রাম বিটুমিনের মূল্য ৯ হাজার টাকা, অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা বিটুমিন প্রতি ড্রাম ১১ হাজার টাকা। অর্থাৎ বিপিসি নিয়ন্ত্রিত মূল্যের চেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা বিটুমিনের মূল্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বেশি। অসৎভাবে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যেই অসাধু কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতায় বিটুমিনের কালোবাজারি তৎপরতা চালানো হয়।”
ওই সময় বিপিসির পরিচালক ছিলেন রেজওয়ান হোসেন।