তাড়াশে ডাকাত আতংক, রাত জেগে পাহারা

ডাকাতের আতংকে গত পাঁচ দিন ধরে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষ।

ইসরাইল হোসেন বাবু সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2015, 03:39 PM
Updated : 27 May 2015, 03:39 PM

স্থানীয়দের অভিযোগ, ধান কাটা শেষ হতে না হতেই প্রায়ই গ্রামের হানা দিচ্ছে ডাকাত দল।

উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘুরিয়া, বারুহাস, সাংন্দরা, সোরহাবাড়ি, মনহরপুর, কুসুমদি, সাচানদি, বিনতপুর, প্রতিরামপুর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাকাত হানা দিয়েছে।

বারুহাস গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ২৫/৩০ জনের একটি ডাকাত দল দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বারুহাস গ্রামে প্রবেশ করে।

গ্রামবাসী ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে মসজিদের মাইকে প্রচার করায় অতিরিক্ত লোকসমাগমের ভয়ে ডাকাতরা গ্রামের মাঠে গিয়ে অবস্থান নেয়।

সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তারা পার্শ্ববর্তী প্রতিরামপুর গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করে। সেখানেও একই কারণে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

পরে রাত ৩টার দিকে ডাকাত দল সোরহাবাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে চাইলে গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে প্রচার করলে লোকজন এগিয়ে আসে।

তাই সেখান থেকেও তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয় বলে জানান রুহুল আমিন।

বারুহাস গ্রামের হাঁসের খামারি মফিজ উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় ৩০-৩৫টি খামারে হামলা চালিয়ে বেশকিছু হাঁস মেরে ফেলে এবং প্রায় অর্ধশত হাঁস নিয়ে যায় ডাকাত দল।

সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, চারদিন আগে গভীর রাতে ডাকাতদল দিঘুরিয়া গ্রামে হানা দিলে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে তারা ফিরে যায়। তবে, লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের আবুল কাশেম মিঞার বিদুৎচালিত সেচপাম্প লুট করে নিয়ে যায়।

এ অবস্থায় ডাকাত আতংকে ৫দিন যাবত ১০টি গ্রামের মানুষকে পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, তাদের পাহারার কারণে বড় কোনো ডাকাতির ঘটনা না ঘটলেও আতংকে রাতযাপন করতে হচ্ছে তাদের। কারণ ডাকাতদল ধানসহ যা পাবে তাই নিয়ে যাবে।

ডাকাতি রোধে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

তাড়াশ থানার এএসআই মির্জা মোজাহারুল ইসলাম জানান, গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বুধবার ভোর ৩টার দিকে বারুহাস ইউনিয়নে গেলেও ডাকাতদের পাওয়া যায়নি।

কয়েকটি গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের উপস্থিতি জানিয়ে দেওয়ায় এবং অতিরিক্ত লোকসমাগমের ভয়ে তারা ফিরে গেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

“গ্রামবাসীকে ডাকাত আগমনের সংবাদ দ্রুত পুলিশকে জানাতে বলেছি,” বলেন এএসআই মির্জা মোজাহারুল।