বুধবার চট্টগ্রাম ক্লাবে আবাসন শিল্প মালিকদের সংগঠন রিহ্যাব আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাস দেন।
এর আগে ১৭ মে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনায় নাছির বলেছিলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা গণমাধ্যমে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করা হয়।
এরপর ২১ মে নগরীর লালদীঘি মাঠে আরেক সংবর্ধনায় তিনি বলেছিলেন, জলাবদ্ধতা নয় বরং অপরিচ্ছন্নতাই চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সমস্যা।
এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বুধবারের অনুষ্ঠানে নাছির বলেন, “বর্ষা মৌসুম প্রায় চলে এসেছে। ২৬ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণের পর তাই জলাবদ্ধতাকেই অগ্রাধিকার দেব।
“আমরা অনেকেই বাসার পাশের নালায় ডাস্টবিনের মত ময়লা ফেলি। আবার নির্মাণ কাজ করার সময় অনিয়ন্ত্রিতভাবে নালায় নির্মাণসামগ্রী ও পাইলিংয়ের ময়লা ফেলি। যা বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।”
নগরবাসী এ ব্যাপারে সচেতন না থাকলে এবং সহযোগিতা না করলে শুধু সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন মেয়র।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রিহ্যাব চট্টগ্রাম শাখার চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান বলেন, কয়েক বছর ধরেই দেশের নির্মাণখাতে মন্দা চলছে। যা কাটিয়ে উঠতে সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের সাহায্য প্রয়োজন।
নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের জন্য রিহ্যাবের পক্ষ থেকে একটি প্রশিক্ষণ ইন্সিটিটিউট করার ইচ্ছা জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে ২০ কাঠা জমি চান তিনি, যা নগদ অর্থে কিনে নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম, রিহ্যাব চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহ-সভাপতি আবদুল কাদের জিলানী ও সদস্য কামাল উদ্দিনও বক্তব্য রাখেন।