গাজীপুরের নাওজোর মহাসড়ক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান জানান, বুধবার দুপুরে সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বাস চালক দুলাল মিয়াকে আটক এবং পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে বলে তিনি জানান।
লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এসআই মিজানুর বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নিহত সুজিত রায় (২৫) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাইনবোর্ড এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার বাড়ি নেত্রকোণার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী এলাকায়।
আহত দুই ভাই টিটু (২৫) ও পিন্টু (২২) গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহতের মামাত বোন লিপি রাণী বলেন, সকাল ৮টার দিকে নেত্রকোণার কেন্দুয়া থেকে তিনিসহ সুজিত, পিন্টু, টিটু ও টিটুর স্ত্রী ঝুমকা রাণী গাজীপুরের উদ্দেশ্যে নিলয় পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন।
বাসে কম সিট খালি থাকায় তারা পাঁচজন চারজনের সিটে বসেন। কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা ছিল চার সিটের ভাড়া নেবে।
কিন্তু দুপুর ১টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তায় এসে বাস থেকে নামার সময় পাঁচ সিটের ভাড়া দাবি করে কন্ডাক্টর।
লিপি রাণী অভিযোগ করেন, এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর বাস থেকে নামার সময় চালকের সহকারী, কন্ডাক্টর ও তাদের সহযোগীরা মিলে সুজিতসহ তিন ভাইকে মারধর করে।
লিপি বলেন, “এক পর্যায়ে ইট দিয়ে সুজিতের মাথায় আঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে তাকে বাসের সামনে ফেলে দেয়। এ সময় চালক বাসটি দ্রুত চালিয়ে দিলে চাকার নীচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সুজিত।”