চাঁদপুরে সৌদি গমনেচ্ছু নারীর ‘সাড়া কম’

গৃহকর্মীর চাকরি নিয়ে সৌদি আরব যেতে তেমন সাড়া নেই চাঁদপুরের নারীদের মধ্যে।

চাঁদপুর প্রতিনিধিআল-ইমরান শোভন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2015, 12:41 PM
Updated : 27 May 2015, 12:41 PM

জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস জানায়, বুধবার চাঁদপুর শহরের জে এম সেনগুপ্ত রোড এলাকায় অবস্থিত জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নিবন্ধন কার্যক্রম।

কর্মসূচির প্রথম দিনে নিবন্ধন করেছেন পাঁচ জন। এর আগে প্রথম দফায়ও এ জেলায় নিবন্ধন করেছিলেন মাত্র পাঁচ নারী।

চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে চাঁদপুরে তিন দিনব্যাপী এ নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে।

চাঁদপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক হালিমা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সৌদি আরব যাওয়ার ব্যাপারে চাঁদপুরের নারীদের আগ্রহ কম। মাইকিং করে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও নারীদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রথম দফায় পাঁচ জন এবং দ্বিতীয় দফায় প্রথম দিনে আরও পাঁচ নারী নিবন্ধন করেছেন বলে জানান তিনি।

নিবন্ধন করতে আসা চাঁদপুর শহরের কাঁচাকলোনী এলাকার বাসিন্দা আলো বেগম (৩২) বলেন, “আমার দুটি মেয়ে রয়েছে। অটোরিকশা চালক স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছে। এখন অভাব-অনটনে বাবার সংসারে দুই সন্তান নিয়ে আছি।”

পরিবারের অস্বচ্ছলতা দূর করতে তিনি সৌদি আরব যেতে চান বলে জানান।

মমতাজ বেগম, ফাহিমা পারভীন, রিনু আক্তার ও নাজমা আক্তার বলেন, তারা কষ্টে আছেন। স্বামীর আয় দিয়ে সংসার চালানো যাচ্ছে না। তাই সরকারিভাবে সৌদি গিয়ে নিজেদের পরিবারের কষ্ট দূর করতে চান।

সৌদি আরবে যেন নিরাপদে কাজ করতে পারেন সেদিকে সরকারিভাবে নজরদারি রাখার আহ্বান জানান তারা।

বাংলাদেশ এক্সপোর্ট করপোরেশনের ম্যানেজিং পার্টনার মো. হাসান জানান, সৌদি আরবে যাওয়া নারীরা ভালো থাকবে এবং তাদের ভালো বেতন দেওয়া হবে।

সেখানে যাতে তারা কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়ে সেজন্য সকলের নজর থাকবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুলে নেয় সৌদি আরব। পরে এক লাখ ২৯ হাজার গৃহকর্মী নিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে দেশটি।

চুক্তি অনুযায়ী প্রথম দফায় ৩০ হাজার নারীকর্মী চেয়েছে সৌদি আরব। এর মধ্যে ঈদের আগে ২০ হাজার ও ঈদের পরে বাকি ১০ হাজার পাঠানোর কথা।

মার্চে দেশের বিভিন্ন বিভাগে বিদেশগমনেচ্ছু নারী শ্রমিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।