র্যাব ও পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে ও দুপুরের দিকে এ দুই উপজেলায় অভিযান চালানো হয়।
আটকরা হলেন- হ্নীলার লেদা এলাকার মোহাম্মদ কালা মিয়া (৬০), শামসুল আলম (২৫), শফি আলম (২০), টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়ার নুর হাফেজ (২০) ও উত্তরপাড়া গ্রামের হাসান শরীফ (২৫)।
টেকনাফ থানা পুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকা থেকে ‘মানবপাচারে জড়িত’ তিন জনকে আটক করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ থেকে হাফেজ ও শরীফ নামের দুই যুবককে আটক করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে নয়টি মোবাইল ফোন ও দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ জিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইসলামাবাদে মুক্তিপণের টাকা আদায় করতে এসেছিল ওই দুজন। গোপন খবর পেয়ে সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়।”
দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দায়ের করে কক্সবাজার সদর থানায় দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
তবে, অপহরণ বা মুক্তিপণ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ওই র্যাব কর্মকর্তা।
সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় মানপাচারকারী চক্রের পরিত্যক্ত আস্তানায় গণকবর সন্ধান লাভের পর থেকেই অবৈধ অভিবাসনের বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে। এরপর সাগরপথে নৌকা ও ট্রলারে করে রওনা দেওয়া বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ও মিয়ানমার নাগরিক উদ্ধার করা হয়।