বাংলাদেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনালের এই বিচারক মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “সাইবার অপরাধের অভিযোগে করা শত শত মামলা বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় রয়েছে। তবে সেগুলো তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না।
“তদন্ত কর্মকর্তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারা মামলাগুলো অনেক সময় বোঝেনও না।”
সাইবার অপরাধের বিচারে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার। ঢাকায় স্থাপিত এই ট্রাইব্যুনালের আওতা পুরো বাংলাদেশ।
অন্যগুলোর মতো সাইবার অপরাধের মামলাগুলোও পুলিশ তদন্ত করে থাকে।
বিচারক শামসুল বলেন, “এইসব মামলার ইলেকট্রনিক এভিডেন্সই যথেষ্ট। এতে অত সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে আসার দরকার নেই।”
সাইবার নিরাপত্তা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নিরাপদ সাইবার জগত, এটাই হোক আজকের শপথ’ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন এই বিচারক।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খোন্দকার আবদুল মান্নান, ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইদুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপ সচিব মাহবুবা পান্নাও সেমিনারে ছিলেন।
শামসুল ইসলাম সাইবার অপরাধের মামলার বিচারে গতি আনতে ট্রাইব্যুনাল বাড়ানোর সুপারিশ করেন।
“আইনের ৬৮ এ বলা হয়েছে রাষ্ট্র একটি বা একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে। এটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত যে কোনো দায়রা আদালত বা দায়রা ডিভিশনকে দায়িত্বটা দেওয়া যেতে পারে।”
সাইবার অপরাধের বিচারে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির আগে বাংলাদেশ সম্পর্কিত বাইরের অপরাধ এখনি ট্রাইব্যুনালের বিচারের আওতায় না আনার পক্ষপাতি তিনি।
“আইনে আছে, যে ব্যক্তি (বাংলাদেশের নাগরিক) বিদেশে বসে বাংলাদেশের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস ব্যবহার করে কোনো অপরাধে জড়িত হলে এই তথ্য প্রযুক্তির আওতায় অপরাধ করলে সেটিও অপরাধ হবে। আবার বলা আছে, ট্রাইব্যুনালের আওতা বাংলাদেশ। এখানে কিছুটা সংঘাত থাকতে পারে। বিদেশের সঙ্গে কোনো কিছু ঠিক (চুক্তি) না হলে সেদিকে না যাওয়াই ভালো।”