কপ্টার বিধস্ত: আহত স্কোয়াড্রন লিডারের মৃত্যু

দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত স্কোয়াড্রন লিডার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2015, 04:51 PM
Updated : 26 May 2015, 04:51 PM

সোমবার রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে সাফায়াত সারোয়ার (২৯) মারা যান বলে তার নানা কে এম ফেরদৌস জানিয়েছেন।  

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ এসে পৌঁছানোর কথা বলে জানান তিনি।

কে এম ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর প্যারেড মাঠে তার প্রথম জানাজা হবে।

বন্দরনগরীর চকবাজার এলাকায় প্যারেড গ্রাউন্ড সংলগ্ন পার্সি ভিল হিলে সাফায়াতের পরিবার বসবাস করে।

সাফায়াতের বাবার নাম সারোয়ার মো. শহীদ উল্লাহ এবং মা নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শারমিন আক্তার।

কে এম ফেরদৌস বলেন, এক বছর আগে সাফায়াতের বিয়ে হয়। তার স্ত্রী মেডিকেল শিক্ষার্থী।

“বুধবার চট্টগ্রামে জানাজা শেষে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আরেকটি জানাজা শেষে বনানীতে বিমান বাহিনীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।”

গত ১৩ মে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন জহুরুল হক ঘাঁটিতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

এতে কপ্টারের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়াত সারোয়ার, পাইলট অফিসার ফুয়াদ-বিন-এহসান ও ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার সার্জেন্ট মো. ফেরদৌস কামাল আহত হন।

ঘটনার দিনই সাফায়াত ও ফেরদৌসকে উন্নত চিকিৎসার জন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সাফায়াতের নানা কে এম ফেরদৌস বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছিল।

১৩ এপ্রিল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিধ্বস্ত কপ্টারটি ছিল একটি এমএই-১৭ হেলিকপ্টার।

ওই দিন ঘটনার পর ঘটনাস্থলে থাকা বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, প্রশিক্ষণ, উদ্ধার ও পরিবহন কাজে এ ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।

বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ১৩ মে সকাল সাড়ে ১০টায় জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পরপরই কপ্টারে সমস্যা দেখা দেয়। পাইলট জরুরি অবতরণের জন্য কন্ট্রোল টাওয়ারে সংকেত পাঠান। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই কপ্টারের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছিলেন না।

বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই কপ্টারে আগুন ধরে যায়। পাইলট অফিসার ফুয়াদ হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসেন। বাকি দুজনকে বিমানবন্দরের উদ্ধারকর্মীরা বের কের আনেন।