সোহাগ পরিবহনের চালক-হেলপার জামিনে মুক্ত

ফরিদপুরের মধুখালীতে বেনাপোলগামী সোহাগ পরিবহনের বাসে ডাকাতির মামলায় আটক বাসটির চালক ও তার সহকারীকে জামিন দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ফরিদপুরের ৪ নম্বর আমলী আদালতের হাকিম গোলাম সরোয়ার এ দুই পরিবহন শ্রমিককে ১০ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন।

জামিন পাওয়া দুই শ্রমিক হলেন চালক আয়নাল (৩৮) ও তার সহকারী শাকিল (২৬)।

দক্ষিণাঞ্চলের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের একদিন পর এ দুজনকে মুক্তি দেওয়া হলো।

ফরিদপুর আদালতের পিপি খোরশেদুজ্জামান দুলু জানান, ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও যুগ্ন আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদের জিম্মায় তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।

আদেশের কপি জেলা কারাগারে পৌঁছার পর সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

খোরশেদুজ্জামান আরও জানান, মঙ্গলবার এ মামলায় পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রউফ ইতিপূর্বে আদালতে দেওয়া রিমান্ড আবেদন স্থগিত রাখার আবেদন করে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র দাস আসামিদের জামিন আবেদন করেন।

তিনি জানান, দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত জেলা বাস মালিক গ্রুপের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও যুগ্ন আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদের জিম্মায় ১০ হাজার টাকায় মুচলেকায় তাদের ১০ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন।

গত ১৯ মে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মধুখালীতে বেনাপোলগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে সাত ডাকাত যাত্রীদের নগদ সাত হাজার ২শ মার্কিন ডলার, ২২ হাজার ভারতীয় রুপি, ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা এবং ২৫টি মোবাইল ফোন লুট করে।

এ ঘটনায় বাসটির যাত্রী গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরোয়ার হোসেন (৩৫) বাদী হয়ে ১৯ মে মধুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার শহিদুল ইসলামসহ (৩০) অজ্ঞাত পরিচয় আরও সাতজনকে আসামি করা হয়। 

ওইদিনই বাসের চালক ও সহকারী গ্রেপ্তার হলেও সুপারভাইজার পলাতক রয়েছেন।

এদিকে তাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দক্ষিণাঞ্চলে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিক-শ্রমিকরা।

সোমবার ঢাকায় সরকারের সঙ্গে মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।