তাদের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ এবছর ‘একসেস টু ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ ক্যাটাগরিতে’ সম্মানজনক এ পুরস্কার পেয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য বাতায়নের এই পুরস্কার জয়ের কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার জাতিসংঘের আইসিটি সংক্রান্ত বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদর দপ্তর জেনেভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার।
প্রাথমিক বাছাইয়ের ৩ নম্বর ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের জাতীয় তথ্য বাতায়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, ভারত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি ও পোল্যান্ডের ৪৬টি উদ্ভাবনী প্রকল্প মনোনীত হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর জাতীয় তথ্য বাতায়নের পাশাপাশি এটুআই প্রকল্পের আরও একটি উদ্যোগ ‘শিক্ষক বাতায়ন’ ৪ নম্বর ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিল।
গত বছর তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রথমবারের মতো ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার’ পায় এটুআই প্রকল্প।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের জাতীয় তথ্য বাতায়নে (www.bangladesh.gov.bd) ২৫ হাজার ওয়েবসাইট ও ৪২ হাজার সরকারি দপ্তরকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ জানান, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ইউটিলিটি বিল প্রদান, পাসপোর্টের জন্য আবেদন, কর প্রদান, সরকারি ফরম ডাউনলোডসহ প্রায় ১৫০টিরও বেশি ই-সেবা এই পোর্টাল থেকে দেওয়া হয়।
“তথ্য বাতায়নে ২০ লাখের অধিক কন্টেন্ট, ৪৫ হাজারের অধিক ঐতিহাসিক নিদর্শন ও পুরাকীর্তির ছবি এবং ৭ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য সমৃদ্ধ ই-ডিরেক্টরি যুক্ত করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে এটুআই প্রকল্পের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তাও উপস্থিত ছিলেন।