হামলায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে সোমবার রাতে ওই গ্রামের আবুল হোসেনের বাঁশ বাগান থেকে আক্রমণকারী হাতিটি সরিয়ে নেয় তারা।
এর আগে সোমবার দুপুরে হাতির মালিক আব্দুল মতিন সেখানে পৌঁছেন। তিনি হাতির আক্রমণে নিহত তিন জনের পরিবারকে ৬০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেন।
গত শনিবার হাতির আক্রমণে নারীসহ তিনজন নিহত হওয়ার পর বাসাবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের বাঁশ বাগানে হাতিটি অবস্থান নেয়। এরপর থেকে ওই এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে ছিল। পুলিশ গ্রামবাসীকে নিরাপত্তা দিতে ওই বাগানে পাহারাও বসায়।
শনিবার ভোরে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে পুরুষ এই হাতিটি শেকল ছিঁড়ে মধুমতি নদী পার হয়ে মোল্লাহাট উপজেলা এলাকায় প্রবেশ করে।
মোল্লাহাট থানার ওসি আ ন ম খায়রুল আনাম বলেন, নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে হাতির মালিক আব্দুল মতিন ৬০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। পরে তিনি হাতিটিকে বাঁশ বাগান থেকে সরিয়ে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
আব্দুল মতিন বলেন, “পনেরো বছর ধরে হাতিটিকে লালন পালন করছি। এই ধরনের ঘটনা সে আগে কখনও ঘটায়নি। এটাই প্রথম। হাতি সাধারণত মানুষের উপর ক্ষুব্ধ হয় না, যদি না তার উপর অত্যাচার বা নির্যাতন করা হয়।”
মাহুত হাতিটিকে পেটানোয় সে ক্ষুব্ধ হয়ে শিকল ছিঁড়ে পালায়।
আটজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক মোল্লা বলেন, “হাতির মালিক নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করায় আমরা খুব খুশি হয়েছি। তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি হাতিটিকে গ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়ায়।”