মঙ্গলবার উপজেলার পূর্ব মাদলা গ্রামের কবির হোসেনের বাবা সিদ্দিক হোসেন মোল্লা এ মামলা করেন।
আসামিরা হলেন শৈলকুপা উপজেলার চরধলহরা গ্রামের ইউনুস আলি ও তার বাবা ওয়াজেদ আলি।
দালাল ইউনুস আলি দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারে জড়িত বলে জানান শৈলকুপা থানার ওসি মো. হাশেম খান।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, পূর্ব মাদলা গ্রামের সিদ্দিক হোসেন মোল্লার ছেলে কবির হোসেন, দানেশ মোল্লার ছেলে খায়ের মোল্লা, হাশেম আলির ছেলে হারুন অর রশিদ ও রব্বান শেখের ছেলে রবিউল ইসলামকে বিমানে বৈধভাবে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে দুলাখ ৪০ হাজার টাকা করে নেয় ইউনুস।
এরপর তাদের ঢাকায় নিয়ে যায়। তারপর থেকে প্রায় ৩ মাস তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
চার দিন আগে কবির হোসেন মোবাইল ফোনে তার বাবাকে জানান, তারা চার জন ইন্দোনেশিয়ার একটি আশ্রয় শিবিরে আছেন।
সিদ্দিক মোল্লা জানান, তার ছেলে জানিয়েছেন- দালাল ইউনুস ফাঁকি দিয়ে কক্সবাজার উপকূলে নিয়ে আরও অনেকের সঙ্গে তাদের চার জনকে একটি ট্রলারে তুলে দেয়।
প্রায় আড়াই মাস বহু লোকের সঙ্গে সাগরে ছিলেন তারা। তাদের তীব্র খাবার সংকট ছিল। একদিন দালাল চক্র ট্রলারটি ডুবিয়ে দেওয়ার কথা বললে আরও অনেকের সঙ্গে তারা চার জনও সাগরে ঝাঁপ দেন।
এরপর ইন্দোনেশিয়ার জেলেরা দেখতে পেয়ে তাদের মাছ ধরার নৌকায় তুলে নেয়। ডাঙ্গায় নামিয়ে দেওয়ার পর তাদের একটি আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, দালাল ইউনুস এভাবে শৈলকুপা উপজেলা থেকে ১৪/১৫ জনকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে পাচার করেছে। বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
ইউনুস তার বাবার মাধ্যমে লোক সংগ্রহ করত। বাবা ছেলে দুজনই এখন গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানান ওসি।