সোমবার চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা তিনটি করা হয়।
ওই আদালতে বিচারক পদ শূন্য থাকায় দায়িত্বে থাকা দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ বাহাউদ্দিন আহমদ মামলাগুলো গ্রহণ করেন।
মামলা করেছেন সংরক্ষিত আসন-১ এর প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নী, নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের চারবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর আবদুল মালেক এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এর মধ্যে গোলাইডাঙ্গা ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলম ও নারী কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নী আওয়ামী লীগের সমর্থনে আগের বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে আবদুল মালেক বিএনপির সমর্থনে ১৯৯৪ সাল থেকে পরপর চার বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী পূর্ণেন্দু চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বহিরাগতদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল, প্রার্থীকে মারধর, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, মনোনয়নপত্রে সম্পত্তির তথ্য গোপন এবং জাল ভোটের অভিযোগে তিন কাউন্সিলর প্রার্থী মামলা করেছেন।
বাদীরা একইসঙ্গে নির্বাচন বাতিল চেয়ে পুনঃভোট গ্রহণের আবেদনেও করেছেন বলে জানান তিনি।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর-১ পদে জয়ী হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সৈয়দা কাশপিয়া নাহরিন দিশা। ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ বাচ্চু এবং ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোহাম্মদ হাবিবুল হক।
মুন্নী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকার ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডের এক বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ১২টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই দখল হয়ে যায়।
“ভোটাররা কেউ ভোট দিতে পারেনি। জোর করে ভোট দেওয়া হয়েছে। তাই আমি বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। দেখি কী হয়।”
জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মারধর করে আমাকেই কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। নিজেই ভোট দিতে পারিনি।”
আবদুল মালেক বলেন, “কেন্দ্র দখল করে যে জাল ভোট দেয়া হচ্ছে তার ছবি এবং ভিডিও আদালতে দাখিল করেছি। আমার এজেন্টদেরও কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।”
এদিকে গত ২২ মে নগর কমিটির বর্ধিত সভায় নবনির্বাচিত মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মামলা না করে অভিযোগ থাকলে তা দলকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
“আমরা সাংগঠনিকভাবে এর শান্তিপূর্ণ সমাধান দেব। কেননা এ ধরনের হানাহানি দলীয় সাংগঠনিক ভিত্তিকে দুর্বল করতে পারে,” বলেছিলেন তিনি।