লক্ষ্যে পৌঁছুতে সহযোগিতা করবে চীন

আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষিত ‘ভিশন-২০২১’ এবং ‘ভিশন-২০৪১’ এর লক্ষ্য অর্জনে চীন সহযোগিতা করবে বলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানদং।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2015, 04:31 PM
Updated : 25 May 2015, 05:15 PM

সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “সাক্ষাতের সময় চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের মন্ত্রণালয় ও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চীনের যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে তার ফলে সংশ্লিষ্ট খাতে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়বে।”

“সরকার ঘোষিত ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ এর লক্ষ্য অর্জনে চীন সহযোগিতা করবে বলেও রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী।”

ইহসানুল করিম বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে লিও ইয়ানদং বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। যার ফলে বাংলাদেশ মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে চীনে রপ্তানি করতে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারে।”

“চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রস্তাবিত ‘চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট জোনের (সিইআইজেড) জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই ৭৭৪ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে বলে এসময় উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

চীন তার প্রতিবেশি দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করতে আগ্রহী বলেও উল্লেখ করেন চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাতের সময় আদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামজিক খাতেও উন্নয়নের গতি তরান্বিত করতে চীনের সহযোগিতা আশা করে। এসময় তিনি শাহজালাল সার কারখানা, ‘সপ্তম বাংলাদেশ-চায়না মৈত্রী সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।

দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য নেওয়ার ব্যাপারে চীনের আশ্বাসের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

‘বাংলাদেশ-চায়না-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার ইকোনোমিক করিডোর (বিসিআইএম)’ বাস্তবায়নে চীনের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্র বাড়াতে আগ্রহী।

চীনের ‘সিল্ক রোড ফান্ড’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ এই ফান্ড থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতা নিতে আগ্রহী। 

রাষ্ট্রপতি গত বছর তার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই সফরগুলো দুই দেশের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী ও সুসংহত করেছে।

চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সফর দুইদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ পূর্তির অংশ হিসেবে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, এই সফরের মাধ্যমে  বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

মন্ত্রণালয় ও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সাক্ষাতের সময় চীনের শিক্ষামন্ত্রী জুয়ান গুইরেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং, চীনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. ফজলুল করিমসহ রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।