আগামী ১৫ জুন সকালে ওই হাকিমকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।আবেদনকারী শিক্ষককেও ওই দিন উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
এ ছাড়া ঘটনা তদন্ত করে মুখ্য বিচারিক হাকিমকে এই সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে প্রধান পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন এক সহকারী অধ্যাপক।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালে নির্বাহী হাকিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশ্রাফুল ইসলাম উচ্চস্বরে মোবাইলে কথা বলতে বলতে একটি পরীক্ষা কক্ষে ঢোকেন। তখন ওই শিক্ষক পরিচয় জানতে চাইলে তাকে লাঞ্ছিত করেন আশ্রাফুল। পরে পা ধরে ওই শিক্ষককে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন এই নির্বাহী হাকিম।
হাকিমের পা ধরে ওই শিক্ষকের ক্ষমা চাওয়ার ছবি ফেইসবুকসহ সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
এরপর ঘটনা তদন্তে গত ২১ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বরিশাল শিক্ষা বোর্ড পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একটি তদন্ত কমিটি করে।
তবে ঘটনা ও এ নিয়ে ছবি প্রকাশে অসন্মানিত হয়েছেন বলে বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রোববার রিট আবেদন করেন ওই শিক্ষক। সোমবার শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন রফিক-উল হক। সঙ্গে ছিলেন মো. সাইমুম সাদী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
আদেশের পর তাপস কুমার বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই ঘটনা তদন্ত করে মুখ্য বিচারিক হাকিমকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত।
সাইমুম সাদী জানান, পূর্ণাঙ্গ আদেশ হাতে পেলে রুলের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
রিট আবেদনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কলেজের অধ্যক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।