নিউ ইয়র্কে শেষ হলো বাংলা উৎসব

প্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশের যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে আয়োজিত তিনদিনের আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলা শেষ হয়েছে।

নিউইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2015, 02:15 PM
Updated : 25 May 2015, 02:16 PM

স্থানীয় সময় ২২ মে থেকে শুরু হয়ে ২৪ মে রাতে এ উৎসব ও বইমেলা শেষ হয়।

উদ্ধোধনী দিনে বাংলা উৎসবের পক্ষ থেকে মার্কিন লেখক ও চলচ্চিত্রকার লেয়ার লেভিনকে এবং সমাপনীতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে সম্মাননা জানানো হয়।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলার এটি ছিল দুই যুগ পূর্তি উৎসব।

এবারই প্রথম মেলা চলাকালীন সময়কে নিউ ইয়র্কের গভর্নর এন্ড্র্যু ক্যুমো ‘বাংলা উৎসব সপ্তাহ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানান মেলার উদ্যোক্তা মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রধান বিশ্বজিৎ সাহা।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একই সঙ্গে নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো উৎসব উপলক্ষে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বাঙালির এ উৎসব প্রবাসের মূল ধারাতেও বিস্তৃত হয়েছে বলা যায়।”

বই মেলায় বাংলাদেশের ১৬টি প্রকাশনী অংশ নেওয়ার পাশাপাশি উৎসবে বিভিন্ন পর্বের আলোচনায় বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ভিয়েনা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কবি-লেখক, সাংবাদিক-শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ-সমাজকর্মী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা অংশ নেন।

এছাড়া উৎসবের বিভিন্ন পর্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার সংকল্পে কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। সর্বস্তরের প্রবাসীর বিপুল সমাগম ঘটায় এবার সর্বাধিক সংখ্যক বইও বিক্রি হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা।

শেষদিনে ‘মুখোমুখি’ নামে সমাপনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতীর পরিচালক রামকুমার মুখোপাধ্যায় একই মঞ্চে দর্শক শ্রোতার মুখোমুখি হন।

যুক্তরাষ্ট্রে বড় হওয়া বাংলাদেশি প্রজন্মের ব্যাপক অংশগ্রহণকে এবারের ‘বিশেষ দিক’ উল্লেখ করে বিশ্বজিৎ বলেন, “তারা বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের এগিয়ে চলার ঘটনাবলী গভীর মনোযোগের সঙ্গে শুনেছেন। বিভিন্ন আলোচনায় কৌতুহল নিয়ে প্রশ্ন করেছেন।”

এছাড়া উৎসবে ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বৈধভাবে অর্থ প্রেরণ’ শীর্ষক এক আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বীরুপাক্ষ পাল এবং নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান।