সোমবার তাদের এই সিদ্ধান্তের ফলে ছয় দিন ধরে চলে আসা দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর যাত্রীদের দুর্ভোগের অবসান ঘটল।
বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সহসভাপতি আবুল কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠকের পর কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোহাগ পরিবহনের চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করায় ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের।
আবুল কালাম বলেন, “বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই মামলাটি ফরিদপুর পুলিশের পরিবর্তে সিআইডি তদন্ত করবে। ওই সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।”
ফরিদপুরের মধুখালীতে বেনাপোলগামী সোহাগ পরিবহনের একটি নৈশকোচে গত ১৮ মে ডাকাতি হয়। এরপর যাত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বাসটির চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করে।
তাদের মুক্তি এবং ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও মধুখালীর ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও ফরিদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৮টি রুটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিক-শ্রমিকরা।
এর ফলে গণপরিবহন পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন খুলনা থেকে বিভিন্ন অঞ্চলগামী মানুষ। ভারত থেকে ফিরে বেনাপোলেও আটকে পড়েন অনেকে।
বিকল্প ব্যবস্থায় অনেকেই প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে গন্তব্যে ফেরেন। এর ফলে তাদের যাতায়াত ব্যয় ১০ গুণের মতোও বেড়ে যায়।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় খুলনা রুটের ট্রেনগুলোতে রোববার অতিরিক্ত বগি সংযোজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়।