সোমবার চবি শিক্ষক সমিতি প্রাঙ্গণে আট দফা দাবি বাস্তবায়নে আয়োজিত মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কাঠামো বৈষম্যমূলক দাবি করে মানববন্ধনে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল মনছুর বলেন, নতুন বেতন কাঠামো হলে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ার কথা সেখানে প্রস্তাবিত কাঠামোয় বেতন আরও কমিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
“কিছু অযৌক্তিক সুপারিশের কারণে প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো এর গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তাই এ বেতন কাঠামোকে সকলের উপযোগী করে পুনর্নির্ধারণ করা হোক।”
চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
“টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল হলে সারাদেশের অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আয়ও কমে যাবে।”
“সার্কভুক্ত অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শিক্ষকদের বেতন অনেক কম। পর্যাপ্ত বেতন ও সুযোগ-সুবিধা না দিলে মেধাবীরাতো এ পেশায় আসবে না, যা দেশের মানবসম্পদ সৃষ্টিতে ব্যঘাত ঘটাবে।”
চবি শিক্ষক সমিতির অন্য দাবিগুলো হল, আট বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অধ্যাপকদের বেতন ভাতা সিনিয়র সচিবের সমতুল্য করা, সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের বেতনভাতা পদায়িত সচিবদের সমতুল্য করা, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডিন্স-এ শিক্ষকদের পদমর্যাদা নিশ্চিত করা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পদমর্যাদা মন্ত্রী পরিষদ সচিবের সমান করা এবং সরকারি কমকর্তাদের মত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যও গাড়ি, আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা।
মানবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি বেণু কুমার দে, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রহমান নাসির উদ্দিন, ফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন, সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ, মার্কেটিং স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাসান প্রমুখ।