বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক সুসংহত হবে: চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী

যে কোনো বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সুসংহত হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানদং।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2015, 09:15 AM
Updated : 25 May 2015, 11:40 AM

সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এক বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

চীন-বাংলাদেশের মধ্যে দুই হাজারের বছরের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে লিও বলেন, “দুদেশের এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরো সুসংহত করা উচিৎ। বাস্তবতা থেকে প্রমাণিত- আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী, আস্থা ও সহযোগিতাই আসল বিষয়।”

দুদেশের সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত তুলে ধরে চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, “‘দক্ষিণাঞ্চল রেশম পথ’ এবং ‘সামুদ্রিক রেশম পথ’ দিয়ে আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় শুরু হয়।

“ফা হিয়েন, হিউয়েন সাং, ই চিং বৌদ্ধ ধর্মের বাণী নিয়ে এবং গবেষণার জন্য বাংলা পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মের বাণী নিয়ে বাংলার অতীশ দীপঙ্কর হিমালয় পর্বতমালা অতিক্রম করে চীন পৌঁছেছিলেন।

“চীনা জাতি এবং বাঙালি জাতি উভয়ে সুদীর্ঘকালে প্রচুর সাফল্য সৃষ্টি করেছে। এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক বোঝা এবং সুরক্ষার মাধ্যমে কাজে লাগানো উচিৎ। দুদেশের উচিৎ মানব সম্পদের যৌথ উন্নয়ন করা।”

গত বছর দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এক হাজার ২৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে লিউ বলেন, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ চীনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।

চীনকে বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে উল্লেখ করে লিও বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ অন্যের সহযোগিতা ছাড়া এগিয়ে যেতে পারে না। তাই সবাই এক ধরণের অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।

‘চীনের উন্নয়ন এশিয়া ও বিশ্বের জন্য হুমকি নয়, বরং সুযোগ বয়ে আনবে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’ থেকে ‘সহযোগিতা ও কল্যাণের নীতি’তে রূপ নিয়েছে। এটাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তৈরির বিষয়টি যুগোপযোগী প্রবণতা ও অধিকাংশ মানুষের আন্তরিক আকাঙ্ক্ষা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।