রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্বরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।
সমাবেশে ক্র্যাব সভাপতি ইসারফ হোসেন ইশা বলেন, “দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে। পেশাগতকাজে সহায়তা না করে হয়রানি করছে, যা দুঃখজনক।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, “সাংবাদিক সাগর-রুনিসহ দেশে যেসব সাংবাদিকরা দুর্বৃত্তদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের বিচার না হওয়ার মধ্যে সাংবাদিকদের বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এমনটি কারও কাম্য নয়।”
সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কয়েকজন সাংবাদিককে হয়রানি এবং ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করা হয়।
ইশা বলেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাংবাদিক সমাজ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।”
ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান বলেন, “পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরন কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আকতারুজ্জামান লাভলু, ক্র্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন কাউসার, সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সম্প্রতি রাজধানীতে হয়রানির শিকার হন ক্র্যাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহবুব আলম লাবলু, ক্র্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাখাওয়াত হোসেন কাউসার, দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পিনাকী দাসগুপ্ত ও দৈনিক সমকালের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইন্দ্রজিত সরকার।
সমাবেশে বলা হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে এই সব ঘটনা জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।