রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত সাংবাদিক, কাউন্সিলর প্রার্থী ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেয় কমিটি।
সোমবার দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ, নির্বাচনী পর্যবেক্ষকসহ আরও কয়েকজনের বক্তব্য শোনা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব ফরহাদ আহমেদ খান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালেবিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের হালিশহর কেজি স্কুলের একটিসহ মোট চারটি কেন্দ্র নিয়ে তাদের কাছে অভিযোগ ছিল।
২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ভোটে সাংবাদিক নাজেহাল ও কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় গঠিত এই তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর লাল সাহা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) ফারুক আহমেদ এতে সদস্য রয়েছেন।
ফরহাদ আহমেদ জানান, প্রথম দিনে ৪০ জনের মধ্যে আহত চার সাংবাদিকের মধ্যে তিনজনের বক্তব্য তারা শুনেছেন।
৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন এবং সংরক্ষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহানূর বেগমও তাদের বক্তব্য দিয়েছেন।
ভোটের দিন গোলযোগে আহত একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিবেদক আজাদ তালুকদার জানান, কমিটির সদস্যরা তিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করে।
“কী ঘটেছিল এবং কারা ঘটিয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য শুনেন এবং আমাদের বক্তব্য লিখিত আকারেও কমিটি গ্রহণ করে,” বলেন তিনি।