শনিবার রাত ৮টার দিকে এ চার উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে বহু গাছ-পালা।
নিহতরা হলেন ফুলবাড়ীর খয়েরপুকুর গ্রামের মুকুল চন্দ্র রায়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিতু রায় (২২), নবাবগঞ্জের হাতিশাল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৬০), তার নাতি সাব্বির (৮) এবং চিরিরবন্দরের কামারপাড়া গ্রামের আলেয়া বেগম (৬৫)।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা নিরুপণ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
স্থানীয়রা জানান, ঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুলবাড়ী উপজেলা।
ফুলবাড়ী-গোবিন্দপুর সড়কের পাশে অসংখ্য গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। উপড়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। ঝড়ের কবলে পড়ে এলাকার কাঁচা-পাকা লিচু, আম, কাঁঠাল, কলা প্রভৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় রাত থেকেই জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও রেল লাইনের উপর গাছ পড়ার ফলে রাতে ঢাকাগামী কোচ-ট্রাক এবং আন্ত:নগর ট্রেন একতা ও নীলসাগর চলাচল করতে পরেনি।