রোববার নগরীর আগ্রাবাদে সরকারি কার্যভবন-২ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন এই নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা তুলে নেয়। পরে এক লাখ ২৯ হাজার গৃহকর্মী নিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে দেশটি।
মার্চে দেশের বিভিন্ন বিভাগে বিদেশ গমনেচ্ছু নারী শ্রমিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।
চট্টগ্রামে নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. জহিরুল আলম মজুমদার জানান, চুক্তির পর সৌদি আরব এবার ত্রিশ হাজার নারী কর্মী চেয়েছে। এর মধ্যে ঈদের আগে ২০ হাজার ও ঈদের পরে বাকি ১০ হাজার নারী কর্মী পাঠানো হবে।
চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে চট্টগ্রামে তিন দিনব্যাপী এ নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকার গৃহকর্মীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে।”
সৌদি আরবে গৃহকর্মী পাঠানোর সরকারের এ প্রচেষ্টাকে ইতিবাচকভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমা, বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিএম শরিফুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।