মৃত রত্না খাতুন (২৫) সদর উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী।
রোববার সকালে আঠারখাদা গ্রাম থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার এসআই তৌহিদ হোসেন।
এসআই তৌহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মৃতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পালিয়ে গেছে।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
রত্নার বড় ভাই রোকনুজ্জামান অভিযোগ করেন, চার বছর আগে একই এলাকার সাহেব আলীর সঙ্গে রত্নার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকজন বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দেওয়ার জন্য রত্নার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
একই দাবিতে শনিবার রাতে সাহেব আলী ও তার মা-বোন মিলে মারধর করলে রত্নার মৃত্যু হয়। এরপর তাকে ঝুলিয়ে রেখে ফাঁসিতে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে তারা।
রোববার সকালে খবর পাওয়ার পর তিনি থানায় এ ঘটনা জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।