বিজিবি-২৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এক পতাকা বৈঠকে বিএসএফের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিএসএফ রোববার রাতে সীমান্তে গুলিবর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে।
নিহত আবু সাঈদ (৩০) উপজেলার রামপুর গ্রামের জামাত আলির ছেলে। রোববার সকালে শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের প্রায় এক কিলোমিটার ভেতরে রাজগঞ্জ এলাকায় তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় বলে বেনাপোল বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান।
নিহতের ভাই রেজাউল ইসলাম বলেন, সাঈদ একদল গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভারত থেকে গরু নিয়ে ফিরছিলেন। পথে পুটখালীর অগ্রভুলোট সীমান্তের বিপরীতে ভারতের আংরাইল কালিয়ানি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের গুলি করে।
সাঈদের সঙ্গীদের বরাত দিয়ে রেজাউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুটখালি ও অভয়বাস সীমান্তের মাঝামাঝি ভারতের ঘোনার মাঠ এলাকায় গরু ব্যবসায়ীদের ওই দলকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে বিএসএফ। এ সময় সাঈদ গুরুতর আহত হয়।”
পরে সাঈদের সঙ্গীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার সময় রাজগঞ্জ এলাকায় তার মৃত্যু হলে লাশ সেখানে ফেলেই তারা পালিয়ে যায় বলে ভাইয়ের দাবি।
বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পরিদর্শক রফিকুল জানান।