শনিবার সন্ধ্যায় ভুজপুর থানার রৌসঙ্গা ঘোনা জামে মসজিদের সামনে থেকে মো. বশর ওরফে বশর মৌলভীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ভুজপুর থানার ওসি জাহিদুল কবির জানিয়েছেন।
ভুজপুর তাণ্ডবের ঘটনায় করা হত্যা মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলায় বশর আসামি বলে জানান তিনি।
বশর মৌলভীই মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলেন বলে এ ঘটনায় আগে গ্রেপ্তাররা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন বলে জানান ওসি জাহিদুল।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ভুজপুরে মিছিল বের করেন ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
কয়েকশ গাড়ি ও মোটর সাইকেলসহ মিছিলটি কাজীর হাটে পৌঁছালে বড় মাদ্রাসার মসজিদ থেকে মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘বড় হুজুরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে’।
এরপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গাড়িবহরসহ মিছিলটি ঘিরে হামলা চালানো হয়। জামায়াতে ইসলামীর ওই এলাকার আমির শফিউল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
হামলায় আওয়ামী লীগের তিন কর্মী মারা যান। আহত হন পুলিশসহ শতাধিক আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় দুইশ মটরসাইকেল।