এই পাশবিকতায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে তারা।
এ সময় ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নবিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড দেখা যায় আন্দোলনকারীদের হাতে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষারত ওই গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পাঁচ ব্যক্তি দেড় ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করে। পরে তারা মেয়েটিকে উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডে ফেলে রেখে যায়।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবারের এ মানববন্ধনে সংহতি জানায় গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহ সাধারণ সম্পাদক সংগীতা ইমাম ও মানবাধিকারকর্মী খুশি কবিরসহ অনেকে।
‘যৌন নিপীড়নবিরোধী নির্দলীয় ছাত্র জোট’র আহ্বায়ক শিবলী হাসান বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে হবে, তা না হলে বাংলাদেশ ধর্ষকদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।
“আমরা চাই না আর কোনো নারী এইভাবে জঘন্য নির্যাতনের শিকার হোক। অথচ প্রশাসনের নিস্পৃহতা দেখে মনে হচ্ছে, প্রশাসন পরোক্ষভাবে এই সব ধর্ষকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। টিএসসির যৌন-নিপীড়নের ঘটনায় প্রশাসনের নির্লিপ্ততাই এই ধারাবাহিক যৌন নিপীড়নের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।”
ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে শিগগিরই আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান যৌন নিপীড়নবিরোধী নির্দলীয় ছাত্র জোটের সদস্য সচিব সঞ্জীবন এস চক্রবর্তী।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ ও মশাল মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।